ই-পাসপোর্ট আবেদনের জন্য সহজ ৫টি ধাপ || 5 easy steps to apply for e-passport
ই-পাসপোর্ট আবেদনের জন্য সহজ ৫টি ধাপ। সম্মানীত ভিজিটর, সরকারি-বেসরকারি প্রজ্ঞাপন ও চিঠি-পত্র সমৃদ্ধ এ বাংলা ব্লগ সাইটে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। অনুগ্রহপূর্বক, পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখুন।
প্রিয় পাঠক, আপনি যদি আমার এই অলগেজেটস ডট কম সাইটে নতুন এসে থাকেন; তাহলে, সাইটে প্রতিনিয়ত প্রকাশিত নতুন পোষ্টের আপডেট পেতে-প্লিজ, সাইটের
“ফেসবুক পেজে” লাইক দিয়ে সাইটটির সঙ্গেই থাকুন। আর যদি ইতোমধ্যে আপনি “ফেজবুক পেজে” লাইক দিয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে আবারও স্বাগত জানাচ্ছি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রজ্ঞাপন ও চিঠি-পত্র একত্রে, একসঙ্গে পাবার এ পাঠকপ্রিয় বাংলাদেশী বাংলা ব্লগে। আশা করি, পরবর্তীতে আবারও এসে ধন্য করবেন “সকল গেজেট এক ঠিকানায়” শিরোনামের এ বাংলা ব্লগে।
“ফেসবুক পেজে” লাইক দিয়ে সাইটটির সঙ্গেই থাকুন। আর যদি ইতোমধ্যে আপনি “ফেজবুক পেজে” লাইক দিয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে আবারও স্বাগত জানাচ্ছি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রজ্ঞাপন ও চিঠি-পত্র একত্রে, একসঙ্গে পাবার এ পাঠকপ্রিয় বাংলাদেশী বাংলা ব্লগে। আশা করি, পরবর্তীতে আবারও এসে ধন্য করবেন “সকল গেজেট এক ঠিকানায়” শিরোনামের এ বাংলা ব্লগে।
পাঠক, আপনাদের সকলের চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে এ ব্লগে আয়োজন করেছি-প্রাথমিক শিক্ষার অফিস আদেশ ও পত্র, প্রাথমিক শিক্ষার প্রজ্ঞাপন, মাধ্যমিক শিক্ষার প্রজ্ঞাপন ও পত্র, উচ্চ শিক্ষার প্রজ্ঞাপন ও পত্র, শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও ম্যানুয়াল, শিক্ষকদের পেশাগত প্রশিক্ষণ ও ম্যানুয়াল, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রজ্ঞাপন ও পত্র, পাঠ্য বইয়ের ই-সংষ্করণ, ধর্মীয় ই-বুকসমূহ, আইন ও বিধিমালার ই-বুকসমূহ, জাতীয় পরিচয় পত্র বিষয়ক প্রজ্ঞাপন, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের প্রজ্ঞাপন ও পত্র, জাতীয় বেতন স্কেলসমূহ, বিভিন্ন আর্থিক সুবিধার প্রজ্ঞাপন ও পত্রসহ বিভিন্ন ধরনের সরকারি-বেসরকারি গুরূত্বপূর্ণ গেজেট, পরিপত্র ও পত্রাদি। এবার আসা যাক, আজকের পোষ্টের কথায়।
--------------------------------------------------
আরও দেখুন-
--------------------------------------------------
ই-পাসপোর্ট আবেদনের জন্য সহজ ৫টি ধাপ।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে ১৮ জানুয়ারি, ২০২০ খ্রি: তারিখে ই-পাসপোর্ট আবেদনের জন্য যে সহজ ৫টি ধাপ উল্লেখ করা হয়েছে, তা এ ব্লগের সম্মানীত পাঠকদের উদ্দেশ্যে নিম্নে তুলে ধরা হলো।
ই-পাসপোর্ট আবেদনের জন্য সহজ ৫টি ধাপ।
ধাপ-১: বর্তমান বসবাসরত জেলাতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে কি না দেখুন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগীয় ও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এবং বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে ধাপে ধাপে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু হবে। তাই নিজ জেলাতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু হলে আবেদনের প্রস্ততি গ্রহণ করুন।
অনলাইনে আবেদন: আবেদনের ক্ষেত্রে বর্তমান ঠিকানা অনুযায়ী জেলা ও থানার নাম অর্ন্তভুক্ত করান। বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিস অথবা দূতাবাসের লিস্ট থেকে নির্দিষ্ট অফিস নির্বাচন করুন ।
ধাপ-২: অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করুন।
পিডিএফ এডিটরের সহায়তায় ফরম পূরণ করে প্রিন্ট করুণ। ই-পাসপোর্ট আবেদন দুইটি প্রক্রিয়ায় সম্পাদন করা যায়।
অনলাইন আবেদন: আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য ক্লিক করুন ‘এখানে’।
অনলাইন পেমেন্ট অপশন নির্বাচন করুন; এতে আপনার সময় সাশ্রয় হবে।
পিডিএফ আবেদন পূরণ: ই-পাসপোর্টের পিডিএফ আবেদন ফরম ডাউনলোড করার পর কম্পিউটারে সরাসরি পূরণ করতে পারেন। পূরণকৃত ফরম প্রিন্ট করে প্রয়োজনীয় দলিলাদিসহ (যেমন: জাতীয় পরিচয় পত্র, পুরাতন পাসপোর্ট [যদি থাকে], প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অন্যান্য প্রমাণক) পাসপোর্ট অফিস বা দূতাবাসে যোগাযোগ করুন। তবে সুনিশ্চিত হউন আপনার সংশ্লিষ্ট অফিস/দূতাবাসে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম শুরু হয়েছে কি না?
দ্রুত কার্যসম্পাদন করতে ক্লিক করুন ‘এখানে’।
মনে রাখুন: আবেদন অবশ্য কম্পিউটারে পূরণ করতে হবে। হাতে লেখা কোন আবেদন গৃহীত হবে না।
ধাপ-৩: পাসপোর্ট ফি পরিশোধ।
তালিকাভুক্তির জন্য পাসপোর্টের নির্ধারিত ফি পরিশোধ করুন। আপনি যখন অনলাইন আবেদন করবেন তখন ফি পরিশোধের জন্য অনেক বিকল্প পাবেন (যেমন: ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ ও অন্যান্য)। এছাড়া নির্ধারিত ব্যাংকে ফি পরিশোধ এর সুযোগ রয়েছে। যখন ব্যাংক ফি পরিশোধ করবেন তখন পাসপোর্ট আবেদনপত্র সাথে রাখা প্রয়োজন।
ধাপ-৪: ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্য পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ:
ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্য পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার আগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে নিয়েছেন কি না নিশ্চিত হোন। কমপক্ষে প্রিন্টেড আবেদন, পেমেন্ট স্লিপ, জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম সনদ, সর্বশেষ পুরোনা পাসপোর্ট (যদি থাকে) এবং অন্যান্য কাগজপত্র (যেটি আপনি সহায়ক মনে করেন) সঙ্গে রাখুন। বর্তমানে ঠিকানা অনুযায়ী দেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে আবেদন করুন। সকল বাংলাদেশ দূতাবাসে দেশের ঠিকানা অনুযায়ী আবেদন করা যাবে। পাসপোর্ট অফিসে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়াদি যাচাই করা হয়।
⦁ কাগজপত্র ও ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই।
⦁ আবেদনকারীর ফটো তোলা।
⦁ আঙ্গুলের ছাপ ও আইরিশের ছবি গ্রহণ।
⦁ যথাযথভাবে পাসপোর্ট ফি পরিশোধ হয়েছে কিনা?
তালিকাভুক্তির পর সরবরাহকৃত ডেলিভারি স্লিপ সংরক্ষন করুন। পাসপোর্ট গ্রহণের সময় ডেলিভারি স্লিপ/রশিদ প্রর্দশন বাধ্যতামূলক ।
ধাপ-৫: পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট সংগ্রহ:
আবেদনকারীকে সশরীরে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে। পাসপোর্ট সংগ্রহের সময় আবেদনকারীর ফিঙ্গার প্রিন্টের সাথে এনরোলমেন্টের ফিঙ্গার প্রিন্টের মিল আছে কি না পরীক্ষণ করা হবে । পাসপোর্ট সংগ্রহের সময় নিম্ন বর্ণিত প্রমাণক সাথে আনতে হবে।
⦁ ডেলিভারী স্লিপ/রশিদ: এনরোলমেন্ট সম্পন্ন হওয়ার পর প্রদেয় স্লিপ
⦁ সর্বশেষ পুরানো পাসপোর্ট (যদি থাকে)।
বিশেষ ক্ষেত্রে উপযুক্ত বাহকের কাছে পাসপোর্ট প্রদান করা যেতে পারে।
⦁ ১১ (এগার) বছরের কম বয়সী সন্তানের পিতামাতা/বৈধ অভিভাবক নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র, আবেদনকৃত পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপ/রশিদ ও পূর্বের পাসপোর্ট(যদি থাকে) প্রদর্শন সাপেক্ষে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে।
⦁ অসুস্থ ব্যক্তির ক্ষেত্রে ক্ষমতা হস্তান্তর পত্র, আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র, পুরাতন পাসপোর্ট (যদি থাকে) এবং ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র, পুরাতন পাসপোর্ট (যদি থাকে) যাচাই সাপেক্ষে পাসপোর্ট প্রদান করা যাবে ।
ধাপগুলো সরাসরি অধিদপ্তরে দেখুন এখানে।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে
শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
কোন মন্তব্য নেই