ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত পরীক্ষার স্ট্যান্ডার্ড প্রশ্ন ব্যাংক ও উত্তর:
ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত পরীক্ষার স্ট্যান্ডার্ড প্রশ্ন ব্যাংক ও উত্তর। সম্মানীত ভিজিটর, সরকারি-বেসরকারি প্রজ্ঞাপন ও চিঠি-পত্র সমৃদ্ধ এ বাংলা ব্লগ সাইটে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। অনুগ্রহপূর্বক, পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখুন।
প্রিয় পাঠক, আপনি যদি আমার এই অলগেজেটস ডট কম সাইটে নতুন এসে থাকেন; তাহলে, সাইটে প্রতিনিয়ত প্রকাশিত নতুন পোষ্টের আপডেট পেতে-প্লিজ, সাইটের “ফেসবুক পেজে” লাইক দিয়ে সাইটটির
সঙ্গেই থাকুন। আর যদি ইতোমধ্যে আপনি “ফেজবুক পেজে” লাইক দিয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে আবারও স্বাগত জানাচ্ছি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রজ্ঞাপন ও চিঠি-পত্র একত্রে, একসঙ্গে পাবার এ পাঠকপ্রিয় বাংলাদেশী বাংলা ব্লগে। আশা করি, পরবর্তীতে আবারও এসে ধন্য করবেন “সকল গেজেট এক ঠিকানায়” শিরোনামের এ বাংলা ব্লগে।
সঙ্গেই থাকুন। আর যদি ইতোমধ্যে আপনি “ফেজবুক পেজে” লাইক দিয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে আবারও স্বাগত জানাচ্ছি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রজ্ঞাপন ও চিঠি-পত্র একত্রে, একসঙ্গে পাবার এ পাঠকপ্রিয় বাংলাদেশী বাংলা ব্লগে। আশা করি, পরবর্তীতে আবারও এসে ধন্য করবেন “সকল গেজেট এক ঠিকানায়” শিরোনামের এ বাংলা ব্লগে।
পাঠক, আপনাদের সকলের চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে এ ব্লগে আয়োজন করেছি-প্রাথমিক শিক্ষার অফিস আদেশ ও পত্র, প্রাথমিক শিক্ষার প্রজ্ঞাপন, মাধ্যমিক শিক্ষার প্রজ্ঞাপন ও পত্র, উচ্চ শিক্ষার প্রজ্ঞাপন ও পত্র, শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও ম্যানুয়াল, শিক্ষকদের পেশাগত প্রশিক্ষণ ও ম্যানুয়াল, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রজ্ঞাপন ও পত্র, পাঠ্য বইয়ের ই-সংষ্করণ, ধর্মীয় ই-বুকসমূহ, আইন ও বিধিমালার ই-বুকসমূহ, জাতীয় পরিচয় পত্র বিষয়ক প্রজ্ঞাপন, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের প্রজ্ঞাপন ও পত্র, জাতীয় বেতন স্কেলসমূহ, বিভিন্ন আর্থিক সুবিধার প্রজ্ঞাপন ও পত্রসহ বিভিন্ন ধরনের সরকারি-বেসরকারি গুরূত্বপূর্ণ গেজেট, পরিপত্র ও পত্রাদি। এবার আসা যাক, আজকের পোষ্টের কথায়।
--------------------------------------------------
আরও দেখুন-
--------------------------------------------------
ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত পরীক্ষার স্ট্যান্ডার্ড প্রশ্ন ব্যাংক ও উত্তর।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের “বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ” মোটরযানের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রার্থীদের জন্য লিখিত পরীক্ষার আয়োজন করে থাকেন। এ পরীক্ষায় মোটরযান ও ট্রাফিক আইন সংক্রান্ত বিষয়ের উপর লাইসেন্স প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। উক্ত পরীক্ষার সম্ভাব্য কিছু প্রশ্ন “বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ”-এর ওয়েব সাইট থেকে এ ব্লগের সম্মানীত ভিজিটরদের জন্য নিম্নে তুলে ধরা হলো।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত পরীক্ষার কিছু স্ট্যান্ডার্ড প্রশ্ন ব্যাংক ও উত্তর:
০১. প্রশ্ন: মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স কী?
উত্তর: সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে মোটরযান চালানোর জন্য লাইসেন্স কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত বৈধ দলিলই মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স।
০২. প্রশ্ন: অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কাকে বলে?
উত্তর: যে-লাইসেন্স দিয়ে একজন চালক কারো বেতনভোগী কর্মচারী না হয়ে মোটর সাইকেল, হালকা মোটরযান এবং অন্যান্য মোটরযান (পরিবহনযান ব্যতীত) চালাতে পারে, তাকে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স বলে।
০৩. প্রশ্ন: ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স কত?
উত্তর: পেশাদার চালকের ক্ষেত্রে ২০ বছর এবং অপেশাদার চালকের ক্ষেত্রে ১৮ বছর।
০৪. প্রশ্ন: কোন কোন ব্যক্তি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে?
উত্তর: মৃগীরোগী, উন্মাদ বা পাগল, রাতকানারোগী, কুষ্ঠরোগী, হৃদরোগী, অতিরিক্ত মদ্যপব্যক্তি, বধিরব্যক্তি এবং বাহু বা পা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে অসুবিধা হয় এমন ব্যক্তি।
০৫. প্রশ্ন: মোটরযান কাকে বলে?
উত্তর: মোটরযান আইনে মোটরযান অর্থ কোনো যন্ত্রচালিত যান, যার চালিকাশক্তি বাইরের বা ভিতরের কোনো উৎস হতে সরবরাহ হয়ে থাকে।
০৬. প্রশ্ন: গাড়ি চালনাকালে কী কী কাগজপত্র গাড়ির সঙ্গে রাখতে হয়?
উত্তর: ক. ড্রাইভিং লাইসেন্স
খ. রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (ব্লু-বুক)
গ. ট্যাক্সটোকেন
ঘ. ইনসিওরেন্স সার্টিফিকেট
ঙ. ফিটনেস সার্টিফিকেট(মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়) এবং
চ. রুটপারমিট (মোটরসাইকেল এবং চালক ব্যতীত সর্বোচ্চ ৭ আসন বিশিষ্ট ব্যক্তিগত যাত্রীবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়) ।
০৭. প্রশ্ন: রাস্তায় গাড়ির কাগজপত্র কে কে চেক করতে পারেন/ কোন কোন ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণকে গাড়ির কাগজ দেখাতে বাধ্য?
উত্তর: ক) সার্জেন্ট বা সাব-ইনসপেক্টরের নিচে নয় এমন পুলিশ কর্মকর্তা,
খ) মোটরযান পরিদর্শকসহ বিআরটিএর কর্মকর্তা এবং
গ) মোবাইলকোর্টের কর্মকর্তা।
০৮. প্রশ্ন: মোটরসাইকেলে হেলমেট পরিধান ও আরোহী বহন সম্পর্কে আইন কী?
উত্তর: মোটরসাইকেলে চালক ব্যতীত ১ জন আরোহী বহন করা যাবে এবং উভয়কেই হেলমেট পরিধান করতে হবে (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ধারা-১০০) ।
০৯. প্রশ্ন: গাড়ি দুর্ঘটনায় পতিত হলে চালকের করনীয় কী?
উত্তর: ক) আহত ব্যক্তির চিকিৎসা নিশ্চিত করা,
খ) প্রয়োজনে নিকটস্থ হাসপাতালে স্থানান্তর করা এবং
গ) ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিকটবর্তী থানায় দুর্ঘটনার বিষয়ে রিপোর্ট করা।
১০. প্রশ্ন: আইন অনুযায়ী গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা কত?
উত্তর: ক) হালকা মোটরযান ও মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭০ মাইল,
খ) মাঝারি বা ভারী যাত্রীবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৫ মাইল এবং
গ) মাঝারি বা ভারী মালবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ মাইল।
১১. প্রশ্ন: ট্রাফিক সাইন বা রোড সাইন (চিহ্ন) প্রধানত কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর: ট্রাফিক সাইন বা চিহ্ন প্রধানত তিন প্রকার।
ক. বাধ্যতামূলক, যা প্রধানত বৃত্তাকৃতির হয়,
খ. সতর্কতামূলক, যা প্রধানত ত্রিভুজাকৃতির হয় এবং
গ. তথ্যমূলক, যা প্রধানত আয়তক্ষেত্রাকার হয়।
১২. প্রশ্ন: লাল বৃত্তাকার সাইন কী নির্দেশনা প্রদর্শন করে?
উত্তর: নিষেধ বা করা যাবে না বা অবশ্যবর্জনীয় নির্দেশনা প্রদর্শন করে।
১৩. প্রশ্ন: নীল বৃত্তাকার সাইন কী নির্দেশনা প্রদর্শন করে?
উত্তর: করতে হবে বা অবশ্যপালনীয় নির্দেশনা প্রদর্শন করে।
১৪. প্রশ্ন: লাল ত্রিভুজাকৃতির সাইন কী নিদের্শনা প্রদর্শন করে?
উত্তর: সতর্ক হওয়ার নির্দেশনা প্রদর্শন করে।
১৫. প্রশ্ন: ইঞ্জিন কাকে বলে ?
উত্তর: ইঞ্জিন হচ্ছে এক ধরনের যন্ত্র যেখানে জ্বালানি
বা ফুয়েলকে পুড়িয়ে রাসায়নিক শক্তিকে প্রথমে তাপশক্তিতে এবং তাপশক্তিকে পরে
যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করা হয়।
১৬. প্রশ্ন: ইঞ্জিনের প্রধান প্রধান কয়েকটি যন্ত্রাংশের নাম কী?
উত্তর: ক. সিলিন্ডারহেড
খ. সিলিন্ডাররক
গ. পিস্টন
ঘ. ক্রাংকশ্যাফট
ঙ. ক্যাম ও ক্যাম শ্যাফ্ট
চ. কানেকটিং রড।
ছ. বিয়ারিং
জ. ফ্লাই হুইল
ঝ. অয়েলপ্যান ইত্যাদি।
১৭. প্রশ্ন: পেট্রোল ইঞ্জিন ও ডিজেল ইঞ্জিনের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: ক.পেট্রোল ইঞ্জিনে জ্বালানি হিসেবে পেট্রোল
ব্যবহার হয় কিন্তু ডিজেল ইঞ্জিনে জ্বালানি হিসেবে ডিজেল ব্যবহার করা হয়।
খ. পেট্রোল ইঞ্জিনে স্পার্ক করে ইগনিশন করা হয় কিন্তু ডিজেল ইঞ্জিনে কমপ্রেশন
করে ইগনিশন করা হয়।
গ. পেট্রোল ইঞ্জিনে কার্বুরেটর থাকে কিন্তু ডিজেল
ইঞ্জিনে কার্বুরেটরের স্থলে ইনজেক্টর থাকে।
ঘ. পেট্রোল ইঞ্জিন অটো সাইকেলে কাজ করে কিন্তু ডিজেল
ইঞ্জিন ডিজেল সাইকেলে কাজ করে।
১৮. প্রশ্ন: কী কী লক্ষণ দেখা দিলে ইঞ্জিন ‘ওভার হলিং’ করার প্রয়োজন হয়?
উত্তর : ক. ইঞ্জিনে জ্বালানি এবং লুবঅয়েল (মবিল)
বেশি খরচ হলে।
খ. ইঞ্জিন হতে অত্যধিক কালো ধোঁয়া বের হলে।
গ. বোঝা বহন করার ক্ষমতা কমে গেলে।
ঘ. ফার্স্ট গিয়ারে উঁচু রাস্তায় উঠবার সময় ইঞ্জিন
গাড়িকে টানতে না পারলে।
১৯. প্রশ্ন: এয়ারক্লিনারের কাজ কী?
উত্তর: ক) বাতাসে যে-সমস্ত ধূলিকণা থাকে তা পরিষ্কার করে বিশুদ্ধ বাতাস ইঞ্জিনে
সরবরাহ করা।
খ) পরিষ্কার বাতাস কার্বুরেটরের মধ্যে প্রবেশ না করলে ধূলিকণা পেট্রোলের
সাথে মিশ্রিত হয়ে ইঞ্জিনের সিলিন্ডার, পিস্টন এবং পিস্টন রিংয়ের অতি দ্রুত ক্ষয়
সাধন করে।
২০. প্রশ্ন: কাবুরেটরের অবস্থান কোথায় এবং এর কাজ
কী?
উত্তর: কার্বুরেটরের অবস্থান ইঞ্জিনের ইনটেক ম্যানিফোল্ডের ওপরে ও এয়ারক্লিনারের
নিচে। ফুয়েল ও বাতাসকে নির্দিষ্ট অনুপাতে মিশ্রিত করে ইঞ্জিনে সরবরাহ করাই
এর কাজ।
২১. প্রশ্ন: ডিস্ট্রিবিউটরের কাজ কী?
উত্তর: প্রত্যেকটি স্পার্ক প্লাগে হাইভোল্টেজ কারেন্ট পৌছে দেওয়া ডিস্ট্রিবিউটরের
কাজ।
২২. প্রশ্ন: কনডেনসারের কাজ কী?
উত্তর: ডিস্ট্রিবিউটরের কনট্যাক্টব্রেকার পয়েন্টকে পুড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা
করা।
২৩. প্রশ্ন: স্পার্ক পাগ কোথায় থাকে?
উত্তর: পেট্রোল ইঞ্জিনের সিলিন্ডারহেডে।
২৪. প্রশ্ন: এয়ারলক ও ভেপারলক এর অর্থ কী?
উত্তর: ফুয়েল লাইনে বাতাস প্রবেশের কারণে ফুয়েল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়াকে
এয়ারলক বলে। ফুয়েল লাইন অত্যধিক তাপের সংস্পর্শে আসলে লাইনের ভেতর ভেপার বা
বাষ্পের সৃষ্টি হয়। এই বাস্পের চাপে লাইনের ভেতর ফুয়েল সরবরাহ বন্ধ হওয়াকেই ভেপারলক
বলে।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে
শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেলাম। ধন্যবাদ
উত্তরমুছুনMany many thankful to you 🤗...many important questions that I seen... 😊
উত্তরমুছুনthank you very much for giving us support ...
উত্তরমুছুন