নাগরিক সেবা প্ৰদান সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজে জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক না করার কারণ:
সম্মানিত পাঠক,
পোস্টের মূল আলোচনায় যাবার আগে আপনাদের একটুখানি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই “সকল গেজেট
এক ঠিকানায়” শিরোনামের এ বাংলা ব্লগে আপনাদের জন্য আয়োজিত বিষয়বস্তুগুলোর মধ্যে
রয়েছে-
প্রাথমিক শিক্ষা, মাধ্যমিক শিক্ষা, বিষয় ভিত্তিক ও পেশাগত প্রশিক্ষণ, তথ্য ও প্রযুক্তি, বিভিন্ন বিধি-বিধান, ধর্মীয় বইসহ, পাঠ্য বইয়ের ই-বুক, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয় পত্র, জাতীয় বেতন স্কেল, সরকারি বিভিন্ন আর্থিক সুবিধাদি, এবং মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাসহ আরও অনেক গুরূত্বপূর্ণ বিষয়। এবার আসা যাক,
পোস্টের মূল কথায়।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩ নং আইন) এর ধারা ১১। কতিপয় সেবা গ্রহণে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন – সম্পর্শকে আইনটি নিম্নরূপ :
" (১) সরকার, সরকারী গেজেটে এবং তদাতিরিক্ত ঐচ্ছিকভাবে ইলেকট্রনিক গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উহাতে উল্লিখিত যে কোন সেবা বা নাগরিক সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে, নাগরিকগণকে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন ও উহার অনুলিপি দাখিলের ব্যবস্থা চালু করিতে পারিবে ;
তবে শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশের সমগ্র এলাকায় সাধারণভাবে নাগরিকগণের অনুকূলে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এইরূপ প্রজ্ঞাপন জারী বা ব্যবস্থা চালু করা যাইবে না।”
উপযুক্ত প্রজ্ঞাপন জারী না করা পর্যন্ত, জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন, কিংবা ক্ষেত্রমত, জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি দাখিল করার জন্য কোন নাগরিককে বাধ্য করা যাইবে না এবং জাতীয়পত্র না থাকিবার কারণে কোন নাগরিককে নাগরিক সুবিধা বা সেবা পাইবার অধিকার হইতে বঞ্চিত করা যাইবে না।
২। এমতাবস্থায়, এই মর্মে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করা যাচ্ছে যে, নির্বাচন কমিশন বা সরকার জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩নং আইন) এর ধারা ১১(১) অনুযায়ী সরকারি গেজেটে নাগরিক সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করার জন্য বলা যেতে পারে। কিন্তু তা বাধ্যতামূলক করা হয়নি।
সম্মানিত পাঠক, বিজ্ঞপ্তিটি অরিজিনাল
ফর্মেটে
হুবহু দেখতে
ও ডাউনলোড করে নিতে
এ লিঙ্কে ক্লিক করুন। সবার জন্য শুভ কামনা রইলো-আল্লাহ হাফিজ।
কোন মন্তব্য নেই