২য় শ্রেণির মূল্যায়ন প্যাকেজ | ২য় শ্রেণির মূল্যায়ন নির্দেশিকা
২য় শ্রেণির মূল্যায়ন প্যাকেজ | মূল্যায়ন নির্দেশিকা
জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ অনুসারে সকল ধরণের শিখন মূল্যায়নের ভিত্তি হলো যোগ্যতা। কাজেই ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাথমিকস্তরে শিক্ষার্থীর অর্জিত জ্ঞান, দক্ষতা, মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক বিবেচনায় নিয়ে যোগ্যতা পরিমাপ করার লক্ষ্যে মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিকল্পনা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানে যা শিখছে তা বাস্তব জীবনের সাথে সম্পর্কিত প্রেক্ষাপটে প্রয়োগ করে তাদের পারদর্শিতা প্রদর্শন করবে। শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের এই পারদর্শিতাই মূল্যায়ন করবেন। এ নির্দেশিকায় শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা ও পারদর্শিতা মূল্যায়নের পদ্ধতি ধাপে ধাপে বর্ণিত হয়েছে।
মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকগণ যে সকল বিষয় বিবেচনায় নিবেন-
১. বিষয়গত জ্ঞান মুখস্ত করে মনে রাখা নয় বরং অর্জিত জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ বাস্তব জীবনে প্রয়োগের যোগ্যতা অর্জনই শিক্ষার্থীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই শিক্ষার্থীরা কী মাত্রায় এ যোগ্যতা অর্জন করতে পারছে তার ভিত্তিতেই তাকে মূল্যায়ন করা হবে;
২. নম্বরভিত্তিক ফলাফলের পরিবর্তে যোগ্যতা মূল্যায়নের ফলাফল হিসেবে শিক্ষার্থীরা কী পারছে তার বর্ণনা থাকবে;
৩. শ্রেণিভিত্তিক অর্জনোপযোগী যোগ্যতাকে বিবেচনায় রেখে পাঠগুলোতে বিভিন্ন কাজ রাখা হয়েছে। এ সকল কাজ চলাকালীন শিক্ষার্থীর জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ (সামগ্রিক আচরণ) পর্যবেক্ষণ করে শিক্ষক প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করবেন এবং সংগৃহীত তথ্যের আলোকে সাধারণভাবে প্রতি পাঠ শেষে অথবা প্রয়োজনভেদে শ্রেণিভিত্তিক অর্জনোপযোগী যোগ্যতার সাথে সংশ্লিষ্ট পারদর্শিতার নির্দেশক অনুযায়ী শিক্ষার্থীর অর্জনোপযোগী যোগ্যতা অর্জনের মাত্রা রেকর্ড করবেন;
৪. শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনায় প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো বিনামূল্যের, স্বল্পমূল্যের অথবা পুনঃব্যবহারযোগ্য (রিসাইকেল) উপাদান দিয়ে তৈরি/সংগ্রহের বিষয়ে সচেষ্ট হবেন এবং শিক্ষার্থীদেরও এ বিষয়ে উৎসাহিত করবেন। উপকরণের ব্যয়ভার শিক্ষার্থীর উপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে না;
৫. মূল্যায়ন প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণরূপে শিখনকালীন। শিক্ষক বছরে দুইবার (ষাণ্মাসিক ও বাৎসরিক) শিক্ষার্থীর অগ্রগতি রিপোর্ট প্রদান করবেন। শিক্ষার্থীর পুরো বছরের রেকর্ড বিবেচনায় নিয়ে বাৎসরিক রিপোর্ট প্রস্তুত করতে হবে;
দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে সামষ্টিক মূল্যায়ন বা কোনো আনুষ্ঠানিক লিখিত পরীক্ষা নেয়া যাবে না। ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক শিখন অগ্রগতি মূল্যায়ন করতে হবে। শিক্ষক শিখন-শেখানো কার্যক্রমের শুরুতে, কার্যক্রম চলাকালীন বা পাঠ শেষে শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক মূল্যায়ন করবেন।
------------------------------
আরও দেখুন-
১ম শ্রেণির মূল্যায়ন প্যাকেজ এখানে
--------------------------------
পোস্টের নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ‘‘ফেসবুক পেজে” লাইক দিয়ে রাখুন।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে
শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন।
এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
কোন মন্তব্য নেই