ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সুখবর নিয়ে এলো IFIC BANK.
বাংলাদেশে কর্মরত ফ্রিল্যান্সারদের অর্জিত আয় দ্রুত, নিরাপদে এবং নির্বিঘ্নে তাদের অ্যাকাউন্টে নিয়ে আসার জন্য এবং একই সাথে তাদের সব ধরনের ব্যাংকিং পরিষেবা প্রদানের জন্য IFIC ব্যাংক একটি বিশেষ পরিষেবা 'IFIC ফ্রিল্যান্সার সার্ভিস প্যাকেজ' ' চালু করেছে।
এ উপলক্ষে রোববার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে অবস্থিত IFIC টাওয়ারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। IFIC ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, IFIC ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী শাহ এ সারওয়ার, বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান ড. তানজিবা রহমান, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, IFIC ব্যাংকের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির (বিএফডিএস) প্রতিনিধি, ফ্রিল্যান্সার, বিভিন্ন পেশাজীবী ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার আইসিটি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারীতে যখন বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ সংগ্রাম করছিল, তখন আমরা ডিজিটাল জাতি হতে পেরেছি বলেই আমরা বেঁচে গিয়েছিলাম। এখন সময় আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার, ঘটতে চলেছে ৪র্থ শিল্প বিপ্লব। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, উন্নত রোবোটিক্স, ইন্টারনেট অব থিংস, মেশিন লার্নিং ইত্যাদি প্রযুক্তির জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সারদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আগে ফ্রিল্যান্সারদের কোনো সামাজিক স্বীকৃতি ছিল না। আমি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এবং আইসিটি বিভাগ ও বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সহযোগিতায় এই লক্ষ্যে কাজ করেছি এবং তাদের জন্য একটি আইডি সিস্টেম চালু করতে সক্ষম হয়েছি। আজ এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারদের আয়ের ইতিহাস তৈরি হবে, ফলে ফ্রিল্যান্সাররা বিভিন্ন ব্যাংকিং সুবিধা গ্রহণ করে নিজেদের এবং দেশের উন্নতি করতে পারবে। আজকের ফ্রিল্যান্সাররা আগামী দিনের উদ্যোক্তা, সেই লক্ষ্যে IFIC ব্যাংক সবসময় আপনার পাশে থাকবে। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ভবিষ্যতে পোশাক খাতের মতো আইসিটি খাত থেকেও একই পরিমাণ বৈদেশিক আয় করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি বা বিএফডিএসের চেয়ারম্যান ড. তানজিবা রহমান বলেন, আমাদের দেশে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। তাদের অনেকেই প্রায়শই তাদের বিদেশী উপার্জিত আয় দেশে তাদের নিজস্ব অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে সমস্যায় পড়েন। আশা করছি 'IFIC ফ্রিল্যান্সার সার্ভিস প্যাকেজ' চালুর ফলে এই সমস্যাগুলো আর থাকবে না। IFIC ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী শাহ এ সারওয়ার বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সর্বস্তরের মানুষকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনা। সেই ধারাবাহিকতায় এই ফ্রিল্যান্সার ব্যাংকিং প্যাকেজের যাত্রা শুরু হলো। সারা দেশে 1200 টিরও বেশি IFIC ব্যাংকের শাখা থাকায়, সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা ফ্রিল্যান্সাররা সহজেই এই ব্যাঙ্কিং সুবিধা পেতে পারেন। এখন আপনি দ্রুত, সহজে এবং নির্বিঘ্নে অর্জিত আয় আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আনতে পারেন এবং আপনার কাজের প্রয়োজনের জন্য ক্রস-বর্ডার ই-কমার্স লেনদেনও করতে পারেন৷
আরও দেখুন-
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ-এ DPS খোলার নিয়ম ও সুবিধাসমূহ।
IFIC-এর এই ব্যাঙ্কিং পরিষেবা প্যাকেজে রপ্তানি ধরে রাখার
কোটা অ্যাকাউন্ট অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভিসা
ইন্টারন্যাশনাল ডেবিট কার্ড এবং IFIC মাই অ্যাকাউন্ট পাবেন, যার বিপরীতে IFIC মাই
কার্ড-ভিসা ইন্টারন্যাশনাল ক্রস কারেন্সি ডেবিট কার্ড পাবেন। সারাদেশে 1,200টিরও বেশি IFIC ব্যাংকের শাখা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ওয়ান স্টপ
সার্ভিস সুবিধা এবং ডেডিকেটেড সার্ভিস কাউন্টার প্রদান করবে। আপনি বিকাশ, নগদ ইত্যাদির সুবিধাও পাবেন। সরাসরি আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট
থেকে MFS লেনদেনে দৈনিক হারে জমা করা টাকার উপর FDR এর মত আকর্ষণীয় মুনাফা পাবেন
এবং আপনি মাসের শেষে তা তুলতে পারবেন। প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক ঋণ সুবিধা পাবেন। IFIC মাই কার্ডের মাধ্যমে, সারা দেশে যে কোনো ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে সম্পূর্ণ
বিনামূল্যে টাকা তুলতে পারা যাবে।
পোস্টের নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ‘‘Facebook Page” লাইক দিয়ে রাখুন।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে
শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
কোন মন্তব্য নেই