ইএফটি (EFT ) কি || What is Electronic Funds Transfer?
ইএফটি (EFT ) কি || What is Electronic Funds Transfer?
বর্তমানে নবম থেকে প্রথম গ্রেডে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা ইএফটির মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে ১০ম থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাও ইএফটির আওতায় দেয়া হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে, ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) আওতায় আসছে সরকারের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা। আগামী জুন থেকে ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতার পাশাপাশি কম সুদের গৃহঋণও পাবেন চাকরিজীবীরা।
বর্তমানে নবম থেকে প্রথম গ্রেডে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা ইএফটির মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে ১০ম থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাও ইএফটির আওতায় দেয়া হবে।
এ ছাড়া বেসামরিক প্রশাসনে কর্মরত অবস্থায় কেউ মারা গেলে বা স্থায়ী অক্ষম হলে তাদের দেয়া আর্থিক অনুদানও ইএফটির আওতায় আনা হচ্ছে। এ ছাড়া কল্যাণ অনুদানের টাকাও ইএফটির মাধ্যমে দেয়া হবে। এতে এসব অনুদানের টাকা সরাসরি উপকারভোগীর ব্যাংক হিসাবে চলে যাবে। (সূত্রঃ www.protidinerchitrobd.com)
"Electronic Fund Transfer" যার বাংলা অর্থ হচ্ছে "ইলেট্রনিক তহবিল স্হানান্তর"। EFT হচ্ছে কম্পিউটার ভিত্তিক সিস্টেমগুলোর মাধ্যমে এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর করার ব্যবস্হা। "EFT" এর মাধ্যমে মাত্র ৩০ সেকেন্ডে কর্মকর্তা কর্মচারীরদের বেতন ভাতা নিজ নিজ account এ জমা হয়ে যাবে। এই পদ্ধতি চালু করার ফলে সরকারি সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, গৃহঋণ,পেনশনের পুরো প্রক্রিয়া সহজ, স্বচ্ছ ও দ্রুততর হবে। দূর হবে সব ধরণের আর্থিক অনিয়ম। কর্মকর্তা কর্মচারীদের ইনক্রিমেন্ট, অর্জিত ছুটি, ভ্রমন তথ্য, সার্ভিস রেকর্ড, সব ধরনের তথ্য, "EFT" ডাটাবেইজে থাকবে।
কর্মকর্তা - কর্মচারী প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করলেও সমস্যা নাই। স্ট্যাম্প এর প্রয়োজন হবেনা। এছাড়াও সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী অবসরে যাওয়ার ১ দিনের মধ্যেই মিলবে পেনশন।
EFT (Electronic funds transfer) ফরম এর নমুনা কপি ও সাথে যা, যা লাগবেঃ
DDO (Drawing and Disbursing Officer) Approval করে ফরমটি অনলাইনে পুরণ করবেন।
অনলাইনে EFT ফরম পূরণে যে সব তথ্য লাগবেঃ
১. NID নাম্বার (যে নাম্বার দিয়ে পে-ফিক্সেশন করা আছে)।
২. স্বামী / স্ত্রীর NID নাম্বার।
৩. সন্তানের তথ্য, সন্তানের NID নাম্বার (যদি থাকে)। যদি না থাকে তাহলে জন্মসনদ নাম্বার ও জন্ম তারিখ।
৪. পিতার নাম ও মাতার নাম ইংরেজিতে।
৫. চাকরি সংক্রান্ত তথ্য, বর্তমান পদ, বর্তমান কর্মস্থল, চাকুরী শুরুতে বেতন স্কেল ও বর্তমান বেতন স্কেল।
৬. চাকুরী শুরুতে যোগদানকৃত বিদ্যালয়ের নাম ও বর্তমান বিদ্যালয়ের নাম।
৭. শিক্ষা সহায়তা ভাতার তথ্য।
৮. ব্যাংক ঋণ সংক্রান্ত তথ্য।
৯. ব্যাংক সংক্রান্ত তথ্য। যে ব্যাংক থেকে বেতন হয় সে ব্যাংকের নাম, শাখার নাম, হিসাব নম্বর ও রাউটিং নাম্বার।
১০. জিপিএফ হিসাব নম্বর, বহি নম্বর, ভলিয়াম নম্বর ও পাতা নম্বর।
১১. জিপিএফ মাসিক কর্তন ও বর্তমান মোট জমার পরিমান।
১২. জিপিএফ লোন ও কর্তন সংক্রান্ত তথ্য।
১৩. অর্জিত ছুটি সংক্রান্ত তথ্য।
১৪. আপনার অবর্তমানে পেনশনের ক্ষেত্রে নমিনির তথ্য।
★ আরো কিছু তথ্য লাগবে যেগুলো ইফটি ফরমে দেওয়া আছে।
পূরণকৃত একটি নমুনা কপি(অনলাইন থেকে সংগৃহীত)-
--------------------------------------
আরও দেখুন-
ইএফটি ফরমের পিডিএফ ও ওয়ার্ড ফাইল
---------------------------------------
পোস্টের নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের “ফেসবুকপেজে” লাইক দিয়ে রাখুন।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে
শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
কোন মন্তব্য নেই