আয়কর নির্দেশিকা: ২০১৯-২০২০ || Income Tax guidelines: 2019-2020
আয়কর নির্দেশিকা: ২০১৯-২০২০ || Income Tax guidelines: 2019-2020
আয়ের পুনর্বণ্টনের মাধ্যমে সমতা এবং সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় আয়কর একটি কার্যকর কর ব্যবস্থা হিসাবে বিবেচিত। বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়নের সুফল যাতে সকল নাগরিক সমভাবে পেতে পারে এবং যাতে নাগরিকদের মাঝে আয়ের অসমতা ও বৈষম্য বৃদ্ধি না পায় সে লক্ষ্যে আয়কর বিভাগ কাজ করছে।
এ জন্য বর্তমানে যারা কর প্রদান করছেন তাদের উপর করের বোঝা আর না বাড়িয়ে যারা কর প্রদান করছেন না বা করের আওতার বাইরে আছেন তাদেরকে করনেটে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে এন বি আর রাজস্বের ৫০ শতাংশ আয়কর থেকে আহরণের একটি লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আয়কর খাতে রাজস্ব আদায়ে যথেষ্ট সাফল্য অর্জিত হয়েছে। মাত্র এক দশক আগেও এ খাত থেকে এন বি আর এর মোট রাজস্বের ২০ শতাংশ আদায় হতো। বর্তমানে তা ৩৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
এ জন্য বর্তমানে যারা কর প্রদান করছেন তাদের উপর করের বোঝা আর না বাড়িয়ে যারা কর প্রদান করছেন না বা করের আওতার বাইরে আছেন তাদেরকে করনেটে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে এন বি আর রাজস্বের ৫০ শতাংশ আয়কর থেকে আহরণের একটি লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আয়কর খাতে রাজস্ব আদায়ে যথেষ্ট সাফল্য অর্জিত হয়েছে। মাত্র এক দশক আগেও এ খাত থেকে এন বি আর এর মোট রাজস্বের ২০ শতাংশ আদায় হতো। বর্তমানে তা ৩৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এস ডি জি) অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য রাজস্ব আহরণ বিশেষ করে আয়কর রাজস্ব আহরণ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়াতে হবে। করদাতা-বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে করদাতাগণকে স্বেচ্ছায় স্ব-প্রণোদিতভাবে কর প্রদানে উৎসাহী করার মাধ্যমে এ লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। করদাতাগণের স্বেচ্ছা পরিপালন (voluntary compliance) এর মাধ্যমেই রাজস্ব আহরণ বাড়াতে হবে।
আয়কর রিটার্ন
আয়কর কর্তৃপক্ষের নিকট একজন করদাতার বার্ষিক আয়ের তথ্যাবলী নির্ধারিত ফরমে উপস্থাপন করার মাধ্যম হচ্ছে আয়কর রিটার্ন। আয়কর রিটার্ন ফরম এর কাঠামো আয়কর বিধি দ্বারা নির্দিষ্ট করা আছে। আয়কর আইন অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়।
আয়কর রিটার্ন কারা দাখিল করবেন:
সাধারণভাবে, কোন ব্যক্তি-করদাতার (individual) আয় যদি বছরে ২,৫০,০০০ টাকার বেশি হয় তবে তাকে রিটার্ন দাখিল করতে হবে। মহিলা এবং ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতার আয় যদি বছরে ৩,০০,০০০ টাকার বেশি, প্রতিবন্ধী করদাতার আয় যদি বছরে ৪,০০,০০০ টাকার বেশি এবং গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার আয় যদি বছরে ৪,২৫,০০০ টাকার বেশি হয় তাহলে ঐ করদাতাকে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। আবার কয়েকটি ক্ষেত্রে, আয়ের পরিমাণ যা-ই হোক না কেন, করদাতাকে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রসমূহে ব্যক্তি-করদাতাকে সংশ্লিষ্ট আয় বছরের জন্য আবশ্যিকভাবে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে:
(ক) যদি আয় বছরে করদাতার মোট আয় করমুক্ত সীমা অতিক্রম করে;
(খ) আয় বছরের পূর্ববর্তী তিন বছরের যে কোন বছর করদাতার কর নির্ধারণ হয়ে থাকে বা তার আয় করযোগ্য হয়ে থাকে;
(গ) করদাতা যদি-
(১) কোন কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক বা শেয়ারহোল্ডার employee হন;
(২) কোন ফার্মের অংশীদার হন;
(৩) সরকার অথবা সরকারের কোন কর্তৃপক্ষ, কর্পোরেশন, সত্ত্বা বা ইউনিটের বা
প্রচলিত কোন আইন, আদেশ বা দলিলের মাধ্যমে গঠিত কোন কর্তৃপক্ষ, কর্পোরেশন, সত্ত্বা বা ইউনিটের কর্মচারী (employee) হয়ে আয় বছরের যে কোন সময় ১৬,০০০ টাকা বা তদূর্ধ্ব পরিমাণ মূল বেতন আহরণ করে থাকেন;
(৪) কোন ব্যবসায় বা পেশায় নির্বাহী বা ব্যবস্থাপনা পদে (যে নামেই অভিহিত হোক
না কেন) বেতনভোগী কর্মী (employee) হন;
(ঘ) আয় বছরে করদাতার আয় কর অব্যাহতি প্রাপ্ত বা হ্রাসকৃত হারে করযোগ্য হয়ে থাকে;
(ঙ) যদি আয় বছরের কোন এক সময়ে নিম্নবর্ণিত শর্তের যে কোনটি করদাতার জন্য প্রযোজ্য হয়-
(১) মোটর গাড়ির মালিকানা থাকা (মোটর গাড়ি বলতে জীপ বা মাইক্রোবাসকেও
বুঝাবে);
(২) মূল্য সংযোজন কর আইনের অধীন নিবন্ধিত কোন ক্লাবের সদস্যপদ থাকা;
(৩) কোন সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ হতে ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ
করে কোন ব্যবসা বা পেশা পরিচালনা;
(৪) চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড একাউন্টেন্ট, কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্টেন্ট, প্রকৌশলী, স্থপতি অথবা সার্ভেয়ার হিসেবে বা সমজাতীয় পেশাজীবী হিসেবে কোন স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার নিবন্ধন থাকা;
(৫) আয়কর পেশাজীবী (income tax practitioner) হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নিবন্ধন থাকা;
(৬) কোন বণিক বা শিল্প বিষয়ক চেম্বার বা ব্যবসায়িক সংঘ বা সংস্থার সদস্যপদ
থাকা;
(৭) কোন পৌরসভা বা সিটি করপোরেশনের কোন পদে বা সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী
হওয়া;
(৮) কোন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা বা কোন স্থানীয় সরকারের | কোন টেন্ডারে অংশগ্রহণ করা;
(৯) কোন কোম্পানির বা কোন গ্রুপ অব কোম্পানিজের পরিচালনা পর্ষদে থাকা;
(১০) রাইড শেয়ারিং ব্যবস্থায় মোটরযান প্রদান করা।
(১০) রাইড শেয়ারিং ব্যবস্থায় মোটরযান প্রদান করা।
(১১) মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটি’র নিবন্ধিত মাইক্রোক্রেডিট প্রতিষ্ঠান হওয়া;
(১২) বাংলাদেশে স্থায়ী স্থাপনার (Permanent establishment) মাধ্যমে ব্যবসায় আয় উপার্জনকারী অনিবাসী হওয়া।
(১২) বাংলাদেশে স্থায়ী স্থাপনার (Permanent establishment) মাধ্যমে ব্যবসায় আয় উপার্জনকারী অনিবাসী হওয়া।
আয়কর নির্দেশিকা ২০১৯-২০২০ নিচ থেকে স্ক্রল করে দেখে নিন-
--------------------------------------
আরও দেখুন-
------------------------------------------------------
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে
শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
কোন মন্তব্য নেই