মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক নীতিমালা-২০১৮ || Mother of Humanity Social Welfare Medal Policy-2018
মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক নীতিমালা-২০১৮
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, “আমার জীবনের একমাত্র কামনা, বাংলাদেশের মানুষ যেন তাদের খাদ্য পায়, আশ্রয় পায় এবং উন্নত জীবনের অধিকারী হয়। তিনি ১৯৭২ সালের সংবিধানে ১৫(ঘ) অনুচ্ছেদে “সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার, অর্থাৎ বেকারত্ব, ব্যাধি বা পঙ্গুত্বজনিত কিংবা বৈধব্য, মাতৃপিতৃহীনতা বা বার্ধক্যজনিত কিংবা অনুরূপ অন্যান্য পরিস্থিতিজনিত আয়ত্তাতীত কারণে অভাগ্ৰস্ততার ক্ষেত্রে সরকারী সাহায্য লাভের অধিকার সংযুক্ত করে সামাজিক নিরাপত্তাকে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত করেন।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সমাজের ঝুঁকিতে থাকা বয়স্ক, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা, প্রতিবন্ধী, প্রান্তিক ও অগ্রসর জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষা ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে মানববৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার সুরক্ষা ও সামাজিক কল্যাণে ব্যক্তি এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে বাংলাদেশে সমাজসেবামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এরই ধারাবাহিকতায়, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক উদ্যোগে ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে দেশে প্রথমবারের মতো বয়স্কভাতা এবং ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে বিধবা, স্বামী নিগৃহীতা, মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ইত্যাদি নানা প্রকার সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি শুরু করা হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি, হিজড়া, বেদে ও অগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, চা শ্রমিক, ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস ও জন্মগত হৃদরোগীদের আর্থিক সহায়তা, দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রম সম্প্রসারণ করে ৪১৯টি উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স রোগী কল্যাণ সমিতি গঠন ও নিবন্ধন প্রদান, ভিক্ষুক পুনর্বাসন, বাল্য বিবাহ রোধ, সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধী কোটা চালু, প্রতিবন্ধী মানুষের শিক্ষা, কর্মসংস্থান, চলাফেরা, যোগাযোগ সহজ করা এবং তাদের সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া, পথশিশুদের পুনর্বাসন ও নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা করা এবং দারিদ্র্য নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অতি দরিদ্রদের জন্য টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা, প্রতিবন্ধী মোবাইল থেরাপী ভ্যানসহ নানাবিধ সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও, জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল, ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় ব্যক্তি (পুনর্বাসন) আইন-২০১১, শিশু আইন-২০১৩, পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন-২০১৩, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন-২০১৩, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন-২০১৩ প্রণয়নসহ বিভিন্ন কৌশলগত সংস্কার করে দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠায় প্রভূত অগ্রগতি হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রীড়ার উন্নয়নে বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদানসহ আন্তরিক সমর্থন ও উৎসাহ প্রদান করে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে জাতীয় সংসদ ভবনের পশ্চিম পার্শ্বে ৪.১৬ একর জমি শুধুমাত্র প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ও প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদদের প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সমাজের ঝুঁকিতে থাকা বয়স্ক, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা, প্রতিবন্ধী, প্রান্তিক ও অগ্রসর জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষা ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে মানববৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার সুরক্ষা ও সামাজিক কল্যাণে ব্যক্তি এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে বাংলাদেশে সমাজসেবামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এরই ধারাবাহিকতায়, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক উদ্যোগে ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে দেশে প্রথমবারের মতো বয়স্কভাতা এবং ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে বিধবা, স্বামী নিগৃহীতা, মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ইত্যাদি নানা প্রকার সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি শুরু করা হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি, হিজড়া, বেদে ও অগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, চা শ্রমিক, ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস ও জন্মগত হৃদরোগীদের আর্থিক সহায়তা, দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রম সম্প্রসারণ করে ৪১৯টি উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স রোগী কল্যাণ সমিতি গঠন ও নিবন্ধন প্রদান, ভিক্ষুক পুনর্বাসন, বাল্য বিবাহ রোধ, সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধী কোটা চালু, প্রতিবন্ধী মানুষের শিক্ষা, কর্মসংস্থান, চলাফেরা, যোগাযোগ সহজ করা এবং তাদের সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া, পথশিশুদের পুনর্বাসন ও নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা করা এবং দারিদ্র্য নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অতি দরিদ্রদের জন্য টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা, প্রতিবন্ধী মোবাইল থেরাপী ভ্যানসহ নানাবিধ সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও, জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল, ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় ব্যক্তি (পুনর্বাসন) আইন-২০১১, শিশু আইন-২০১৩, পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন-২০১৩, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন-২০১৩, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন-২০১৩ প্রণয়নসহ বিভিন্ন কৌশলগত সংস্কার করে দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠায় প্রভূত অগ্রগতি হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রীড়ার উন্নয়নে বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদানসহ আন্তরিক সমর্থন ও উৎসাহ প্রদান করে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে জাতীয় সংসদ ভবনের পশ্চিম পার্শ্বে ৪.১৬ একর জমি শুধুমাত্র প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ও প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদদের প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
একবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে সারা পৃথিবীতে বাস্তুচ্যুত শরণার্থীরা আশ্রয় ও জীবিকার সন্ধানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগরতীরে বা ভিন্ন দেশের সীমান্তে আশ্রয় লাভের আকুতি নিয়ে অসহায় অবস্থায় দিনযাপন করছে। উন্নত দেশের রাষ্ট্র নায়করাসহ জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশন যখন শরণার্থী ব্যবস্থাপনায় হিমশিম খাচ্ছে, তখন, বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-“প্রয়োজনে একবেলা খেয়ে থাকব”, এ দৃঢ় প্রত্যয়ে বলীয়ান হয়ে মিয়ানমার থেকে আগত শরণার্থীর ঢলকে বিশাল জনসংখ্যার ছোট্ট আয়তনের বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আশ্রয়সহ মানবিক বিপর্যয়রোধে সকল উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সার্বিক সামাজিক নিরাপত্তা প্রদানে সক্ষম হয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ মানবিক মহান উদ্যোগ আজ সারা বিশ্বে “মাদার অব হিউম্যানিটি” হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এছাড়াও তিনি প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন, এজেন্ট অব চেঞ্জ, হুপে-বোয়ানি শান্তি পুরস্কার, মাদার তেরেসা, এম কে গান্ধী, শান্তিরবৃক্ষ, সাউথ সাউথ এবং চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ মহান উদ্যোগ দেশের জনগণ ও সমাজসেবার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে দেশের মানুষের মাঝে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করে সকলকে মানবতার কাজে নিবেদিত করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ মহান উদ্যোগ বাস্তবায়নে যোগ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, স্বেচ্ছাসেবী ব্যক্তি ও সংস্থা চিহ্নিত করে প্রণোদনা প্রদান করা গেলে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি পাবে এবং সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সহায়ক হবে।
জাতীয় পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধ, শিক্ষা, কৃষি, সংস্কৃতি, সাহিত্য, সাংবাদিকতা প্রভৃতি নানা বিষয়ে পদকের ব্যবস্থা থাকলেও সমাজকল্যাণে বিশেষ অবদানের জন্য কোন পদক নেই। সমাজকল্যাণ ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বিশেষ আগ্রহ ও স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক' চালু করা হলে প্রধানমন্ত্রীর মানবকল্যাণে তার উল্লিখিত কর্মে উৎসাহিত হয়ে মানব উন্নয়ন ও কল্যাণে নিবেদিত মানুষ উজ্জীবিত হবে। মানবতার উন্নয়নে সমাজসেবা, সমাজকল্যাণ ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদানের জন্য ‘মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক' জাতীয় পদক হিসেবে গণ্য হবে।
মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক নীতিমালাটি নিচ থেকে স্ক্রল করে দেখা যাবে-
--------------------------------------
আরও দেখুন-
------------------------------------------------------
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে
শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
কোন মন্তব্য নেই