পারিবারিক পেনশন || Family Pension || allgazettes
পারিবারিক পেনশন-Family Pension
পারিবারিক পেনশনঃ কোন কর্মচারী পেনশন প্রাপ্তির যোগ্যতা অর্জন করার পর অর্থাৎ পেনশন প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় নুন্যতম চাকরিকাল পূর্ণ হওয়ার পর চাকরিরত অবস্থায় অথবা অবসরগ্রহণের পর মৃত্যুবরণ করিলে উক্ত কর্মচারীর পরিবারের ভরণপোষণের জন্য যে পেনশন দেওয়া হয়, উহাই পারিবারিক পেনশন।
উল্লেখ্য পারিবারিক পেনশন প্রাপ্তির জন্য নুন্যতম পেনশনযোগ্য চাকরিকাল ৫ বৎসর হইতে হইবে।
পেনশনযোগ্য চাকরিকাল ৫ বৎসর পূর্ণ হওয়ার পূর্বে কোন কর্মচারী মৃত্যুবরণ করিলে তাহার পরিবার পারিবারিক পেনশন পাইবেন না। তবে অর্থ বিভাগের প্রজ্ঞাপন নং-০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০০৬.১৫.৮১, তারিখ: ১৪-১০২০১৫ খ্রিস্টাব্দ/২৯-৬-১৪২২ বঙ্গাব্দ এর (ঘ) অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী উক্তরূপ ক্ষেত্রে কর্মচারীর চাকরির মেয়াদের প্রতি বৎসর কিংবা উহার অংশ বিশেষের জন্য কর্মচারীর আহরিত ৩ (তিন)টি মূল বেতনের সমপরিমাণ হারে এককালীন বিশেষ আর্থিক সহায়তা পাইবেন।
পারিবারিক পেনশন সম্পর্কে পেনশন সহজীকরণ নীতিমালার বিধানঃ
অর্থ বিভাগের স্মারক নং অম/অবি/প্রবি-১/৩পি-২৮৬(অংশ-১)/৫ তারিখ : ২৭ জানুয়ারি, ২০০৯ দ্বারা জারিকৃত পেনশন সহজীকরণের নীতিমালায় পারিবারিক পেনশন সংক্রান্ত নিম্নরূপ বিধান রহিয়াছে-
উত্তরাধিকারী মনোনয়ন: পারিবারিক পেনশনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী চাকরিতে থাকা অবস্থায় অথবা পরবর্তী যে কোন সময়ে তাঁহার পরিবারের যে কোন এক বা একাধিক সদস্যকে তাঁহার পারিবারিক পেনশনের সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষের উত্তরাধিকারী মনোনয়ন করিতে পারিবেন। মনোনয়নের অবর্তমানে পারিবারিক পেনশন ও আনুতোষিক প্রদানের ক্ষেত্রে তাঁহার সর্বশেষ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ তৎকালীন অর্থ ও রাজস্ব বিভাগের ১৬-৪-১৯৫৯ তারিখের স্মারক নং ২৫৬৬(৪০)-এফ এবং অর্থ বিভাগের ২৮-০৫-২০১২ খ্রিঃ তারিখের স্মারক নং ০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০০২.১২.(অংশ-১)-৫৭ অনুসরণে উত্তরাধিকারী নির্ণয় করিবেন। মৃত পেনশনারের স্ত্রী/স্বামী পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন নাই এই মর্মে স্থানীয় পৌরসভা/ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/ মেট্রোপলিটন এলাকার ক্ষেত্রে কাউন্সিলর/সর্বশেষ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ-এর প্রদত্ত সার্টিফিকেট গ্রহণযোগ্য হইবে। কোর্ট হইতে “সাকসেশন সার্টিফিকেট” প্রদানের বাধ্যবাধকতা থাকিবে না। কর্মচারীর বিধবা স্ত্রী পুনঃবিবাহে আবদ্ধ না হওয়ার শর্তে আজীবন পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন। তবে কর্মচারীর বিধবা স্ত্রীর পুনঃবিবাহ না করার অংগীকার-নামা বা প্রত্যয়নপত্র দাখিলের শর্ত ৫০ বছরের উর্ধ্ব বয়সী বিধবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।
পুত্র ও বিবাহিতা কন্যা সন্তানের বয়সসীমাঃ
পারিবারিক পেনশনের ক্ষেত্রে পুত্র সন্তানের বয়সসীমা ২১ হইতে ২৫ বৎসরে উন্নীত করা হইল। প্রচলিত বিধানের যেই সকল ক্ষেত্রে পুত্র সন্তানের কোন বয়সসীমা বর্তমানে উল্লেখ নাই, সেই সকল ক্ষেত্রে বয়স নির্বিশেষে সকল পুত্র সন্তান পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন। যেমনঃ তৎকালীন অর্থ ও রাজস্ব বিভাগের ১৬-৪-১৯৫৯ তারিখের স্মারক নং ২৫৬৬(৪০)-এফ-এর অনুচ্ছেদ ৫(২)(এ)(i) মোতাবেক পেনশন গ্রহণের জন্য কোন যোগ্য ব্যক্তি না থাকিলে অনুচ্ছেদ ৫(২)(এ)(ii)-এর অনুসরণে ২৫ বৎসরের অধিক বয়স্ক জীবিত জ্যেষ্ঠপুত্র পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন। তবে, পেনশনারের অবসর গ্রহণের তারিখ হইতে মোট ১৫ বৎসর মেয়াদকাল পূর্তির কোন সময়কাল অবশিষ্ট থাকিলে শুধুমাত্র উক্ত সময়কাল পূর্তি পর্যন্ত তিনি পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন। ২৫ বৎসরের উর্ধ্বে পুত্র সন্তানের প্রাপ্যতার অনুরূপ শর্তে মৃত বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারির বিবাহিতা কন্যা/কন্যাগণ প্রচলিত বিধিগত পদ্ধতিতে ও হারে পেনশন/আনুতোষিক প্রাপ্য হইবেন।
অবিবাহিতা/বিধবা/তালাক প্রাপ্তা কন্যার বয়সসীমাঃ
পেনশনারদের অবসর গ্রহণের তারিখ হইতে মোট ১৫ বৎসর মেয়াদকাল পূর্তির কোন সময়কাল অবশিষ্ট থাকিলে এই আদেশ কার্যকর হওয়ার তারিখ হইতে অবশিষ্ট সময়কালের জন্য অবিবাহিতা বিধবা/তালাকপ্রাপ্তা কন্যার বয়স নির্বিশেষে সর্বোচ্চ ১৫ বৎসর মেয়াদকালের অবশিষ্ট সময়কাল পূর্তি পর্যন্ত পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন।
প্রতিবন্ধী সন্তানঃ
বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইন, ২০০১ (২০০১ সনের ১২ নং আইন) এর ২ নং ধারায় বর্ণিত সংজ্ঞা অনুযায়ী প্রতিবন্ধী সন্তান ০১-০৬-১৯৯৪ তারিখ হইতে আজীবন পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন। তবে, উক্ত আইনের ১৩(খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নিবন্ধন সম্পর্কিত পরিচয় পত্রের অনুলিপি পেনশন পেপারের সাথে জমা দিতে হইবে।
বিধবা স্ত্রীর ক্ষেত্রেঃ
পূর্বে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী যে সকল বিধবা স্ত্রী ০১-০৬-১৯৯৪ তারিখে পারিবারিক পেনশন পাইতেন/প্রাপ্ত হইতেন অথবা পরবর্তী সময়ে প্রাপ্য হইবেন, তাঁহারা পুনর্বিবাহ না করিলে ০১-০৬-১৯৯৪ তারিখ হইতে পূর্ণ হারে আজীবন পারিবারিক পেনশন পাইবেন।
অবসর গ্রহণের পরে মৃত্যুর ক্ষেত্রে পারিবারিক পেনশনের হারঃ
একজন কর্মচারী অবসর গ্রহণের পূর্বে মৃত্যু বরণ করিলে তাহার পরিবার যে হারে পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইতেন, অবসর গ্রহণের পর মৃত্যু বরণ করিলে ০১-০৬১৯৯৪ তারিখ হইতে একই হারে তাঁহার পরিবার/মনোনীত উত্তরাধিকারী পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন।
আত্মহত্যার ক্ষেত্রে পেনশনঃ
আত্মহত্যার কারণে মৃত কর্মচারীর পরিবারকে (যদি থাকে) স্বাভাবিক মৃত্যুর ন্যায় প্রচলিত বিধি অনুযায়ী পারিবারিক পেনশন ও আনুতোষিক প্রদান করিতে হইবে।
বিধবা স্ত্রীর আজীবন পেনশন প্রাপ্যতার শর্ত শিথিলকরণঃ
অর্থ বিভাগের প্রজ্ঞাপন নং-০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০০৬.১৫.৮১, তারিখ: ১৪-১০-২০১৫ খ্রিস্টাব্দ/২৯-৬-১৪২২ বঙ্গাব্দ এর (ঙ) অনুচ্ছেদের বিধান দ্বারা পেনশনারের বিধবা স্ত্রীর আজীবন পেনশন প্রাপ্যতার শর্ত শিথিল করা হইয়াছে। শর্ত শিথিল করার কারণে বর্তমানে বিধবা স্ত্রীর পুনঃবিবাহ না করার অংগীকারনামা বা প্রত্যয়ন পত্র দাখিলের শর্ত ৫০ বৎসরের উর্ধ্ব বয়সী বিধবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।
মৃত মহিলা বেসামরিক কর্মচারীর স্বামীর পারিবারিক পেনশন প্রাপ্যতাঃ
অর্থ বিভাগের প্রজ্ঞাপন নং-০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০০৬.১৫.৮১, তারিখ: ১৪-১০-২০১৫ খ্রিস্টাব্দ/২৯-৬-১৪২২ বঙ্গাব্দ এর (চ) অনুচ্ছেদের বিধান মতে পারিবারিক পেনশনের ক্ষেত্রে একজন মৃত মহিলা বেসামরিক কর্মচারীর স্বামী পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ না হইলে, বিধবা স্ত্রীর পারিবারিক পেনশন প্রাপ্যতার অনুরূপ হারে ও পদ্ধতিতে মৃত মহিলা বেসামরিক সরকারি কর্মচারীর বিপত্নীক স্বামী পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন। তবে প্রচলিত সকল বিধি বিধান অনুসরণপূর্বক বিপত্নীক স্বামী সর্বাধিক ১৫ (পনের) বৎসর পর্যন্ত পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন।
কর্মচারীর মৃত্যুতে পারিবারিক পেনশন প্রাপ্তির যোগ্য সদস্যবৃন্দঃ
পারিবারিক পেনশন প্রাপ্তির যোগ্য ব্যক্তি এবং পারিবারিক পেনশন প্রাপ্তির শর্তাদি সম্পর্কে স্মারক নং 2566(40)F, তারিখ : ১৬ এপ্রিল, ১৯৫৯ সেকশন-২ এর অনুচ্ছেদ-৫ তে নিম্নরূপ বিধান সন্নিবেশিত আছে-
(১) পারিবারিক পেনশনের উদ্দেশ্যে পরিবার বলিতে বুঝাইবে,
(ক) পুরুষ কর্মচারীর ক্ষেত্রে স্ত্রী অথবা স্ত্রীগণ।
(খ) মহিলা কর্মচারীর ক্ষেত্রে স্বামী।
(গ) সরকারী কর্মচারীর সন্তান।
(ঘ) সরকারী কর্মচারীর মৃত পুত্রের বিধবা স্ত্রী বা স্ত্রীগণ এবং সন্তানগণ।
উল্লেখ্য সরকারী কর্মচারীর পরিবারের সংজ্ঞায় কর্মচারীর নিম্নোক্ত আত্মীয়বর্গও অন্তর্ভুক্ত হইবে-
(ক) পিতা।
(খ) মাতা।
(গ) ১৮ বৎসরের কম বয়স্ক ভাই।
(ঘ) অবিবাহিতা এবং বিধবা বোন।
(২)(ক) পারিবারিক পেনশন পরিবারের সদস্যদের ভরণপোষণের জন্য পরিবারের নিম্নোক্ত সদস্যদের বরাবরে মঞ্জুর করা যাইবে-
(১) পুরুষ কর্মচারীর ক্ষেত্রে স্ত্রী/স্ত্রীগণ এবং মহিলা কর্মচারীর ক্ষেত্রে স্বামী। তবে কর্মচারীর একাধিক স্ত্রী থাকার ক্ষেত্রে ২৫ বৎসরের অধিক বয়স্ক পুত্র ও বিবাহিতা কন্যাগণ বাদে অন্যান্য সন্তান এবং স্ত্রী মিলে মোট সদস্য সংখ্যা যদি ৪ (চার) এর অধিক না হয়, তাহা হইলে ২৫ বৎসরের অধিক বয়স্ক পুত্র ও বিবাহিতা কন্যাগণ বাদে অন্য সদস্যগণের মধ্যে পেনশন সমহারে বন্টিত হইবে। কিন্তু তাঁহাদের মিলিত সংখ্যা ৪ (চার) এর অধিক হইলে স্ত্রীগণ প্রত্যেকেই ১/৪ অংশ হিসাবে পাওয়ার পর অবশিষ্ট থাকিলে, অবশিষ্টাংশ সন্তানদের মধ্যে (২৫ বৎসরের অধিক বয়স্ক পুত্র এবং বিবাহিতা কন্যাগণ বাদে) সমহারে বন্টন করিতে হইবে।
বিশ্লেষণ: পেনশন সহজীকরণ নীতিমালার ৩.০৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রতিবন্ধী সন্তানগণ আজীবন পেনশন প্রাপ্য বিধায় প্রতিবন্ধী সন্তানের বয়স ২৫ বৎসরের উর্ধ্বে হইলেও পেনশন প্রাপ্য হইবে।
(২) স্বামী/স্ত্রী না থাকার ক্ষেত্রে জীবিত জ্যেষ্ঠ পুত্র সন্তান;
(৩) স্বামী/স্ত্রী এবং জীবিত পুত্র সন্তান না থাকার ক্ষেত্রে অবিবাহিত বয়োজ্যেষ্ঠ কন্যা। উল্লেখ্য বযয়োজ্যেষ্ঠ অবিবাহিত কন্যার মৃত্যু বা বিবাহ হওয়ার ক্ষেত্রে পরবর্তী বযয়োজ্যষ্ঠ অবিবাহিত কন্যা;
(৪) স্বামী/স্ত্রী, জীবিত পুত্র সন্তান এবং অবিবাহিত কন্যা না থাকার ক্ষেত্রে জীবিত বয়োজ্যেষ্ঠ বিধবা কন্যা।
(৫) স্বামী/স্ত্রী, জীবিত পুত্র সন্তান, অবিবাহিত কন্যা এবং বিধবা কন্যা না থাকার ক্ষেত্রে মৃত পুত্রের জ্যেষ্ঠা বিধবা স্ত্রী;
(৬) স্বামী/স্ত্রী, জীবিত পুত্র সন্তান, অবিবাহিত কন্যা, বিধবা কন্যা এবং মৃত পুত্রের বিধবা স্ত্রী না থাকার ক্ষেত্রে মৃত পুত্রের জ্যেষ্ঠ পুত্র সন্তান;
(৭) স্বামী/স্ত্রী, জীবিত পুত্র সন্তান, অবিবাহিত কন্যা, বিধবা কন্যা, মৃত পুত্রের বিধবা স্ত্রী এবং মৃত পুত্রের পুত্র সন্তান না থাকার ক্ষেত্রে মৃত পুত্রের অবিবাহিত বয়োজ্যেষ্ঠ কন্যা;
(৮) স্বামী/স্ত্রী, জীবিত পুত্র সন্তান, অবিবাহিত কন্যা, বিধবা কন্যা, মৃত পুত্রের বিধবা স্ত্রী, মৃত পুত্রের পুত্র সন্তান এবং মৃত পুত্রের অবিবাহিত কন্যা থাকার ক্ষেত্রে মৃত পুত্রের বয়োজ্যেষ্ঠ বিধবা কন্যা।
বিশ্লেষণ: উপরে উল্লেখিত সদস্যগণ না থাকার ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের ১৫ এপ্রিল, ২০০৩ তারিখের স্মারক নং অম/অবি/বিধি-১/৩পি-১৫/৯৯/৪০ অনুসারে ২৫ বৎসরের উর্ধ্বে পুত্র সন্তানের প্রাপ্যতার অনুরূপ শর্তে মৃত কর্মচারীর বিবাহিতা কন্যা/কন্যাগণ প্রচলিত বিধিগত পদ্ধতিতে ও হারে পেনশন প্রাপ্য।
(খ) উপরে উল্লেখিত পরিবারের সদস্যগণ না থাকার ক্ষেত্রে ভরপোষণের জন্য মৃত কর্মচারীর উপর নির্ভরশীল ছিল এই শর্তে নিম্নোক্ত আত্নীয়বর্গের অনুকূলে অগ্রাধিকারের ক্রমানুসারে পেনশন মঞ্জুর করা যাইবে-
(১) পিতা;
(২) পিতার অবর্তমানে মাতা;
(৩) পিতা ও মাতার অবর্তমানে ১৮ বৎসরের কম বয়স্ক বয়োজ্যেষ্ঠ ভাই;
(৪) পিতা/মাতার এবং ১৮ বৎসরের কম বয়স্ক ভাই এর অবর্তমানে অবিবাহিত বয়োজ্যেষ্ঠ বোন। বয়োজ্যেষ্ঠ বোনের মৃত্যু বা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে তৎপরবর্তী অবিবাহিত বয়োজ্যেষ্ঠ বোন।
(৩) পেনশন প্রদেয় হইবে না-
(ক) পিতা, মাতা, ১৮ বৎসরের কম বয়স্ক ভাই, অবিবাহিতা বা বিধবা বোন। মৃত কর্মচারীর উপর ভরণপোষণের জন্য নির্ভরশীল ছিল যদি এইমর্মে যথাযথ প্রমাণপত্র দাখিল করিতে না পারেন;
(খ) সরকারী কর্মচারীর পরিবারের কোন মহিলা কর্মচারীর বিবাহ হওয়ার ক্ষেত্রে;
(গ) সরকারী কর্মচারীর পরিবারের কোন বিধবা সদস্যের বিবাহ হওয়ার ক্ষেত্রে;
(ঘ) ভ্রাতার বয়স ১৮ বৎসর পূর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে;
(ঙ) সরকারী কর্মচারীর পরিবারভুক্ত নয় এমন ব্যক্তিকে।
(৪) একাধিক স্ত্রী থাকার ক্ষেত্র ব্যতীত পেনশন অংশ হিসাবে প্রদেয় হইবে না।
(৫) পেনশন প্রাপ্ত পরিবারের কোন সদস্যের মৃত্যু হইলে বা বিবাহ হইলে পরবর্তী সদস্য পেনশন প্রাপ্য।
(৬) পারিবারিক পেনশন গ্রহণকারীর ভবিষ্যত সদাচরণ পেনশন মঞ্জুরির অন্তর্নিহিত শর্ত।
সধবা কন্যার পেনশন ও আনুতোষিক প্রাপ্তির অধিকারঃ
অর্থ বিভাগের স্মারক নং-অম/অবি/বিধি-১/৩পি-১৫/৯৯/৪০, তারিখ : ১৫ এপ্রিল, ২০০৩ অনুসারে মৃত বেসামরিক সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীর বিবাহিতা কন্যা/কন্যাগণ ব্যতীত অপর কোন বৈধ ওয়ারিশ না থাকিলে সেইক্ষেত্রে তাঁহার পেনশন/আনুতোষিকের টাকা বেসামরিক সরকারী চাকরিজীবীগণের পেনশন মঞ্জুরী ও পরিশোধ সংক্রান্ত বিধি/পদ্ধতি অধিকতর সহজীকরণ স্মারক নং অম/অবি/প্রবি-১/৩পি-২/৮৬(অংশ-১)/৫ ৩.০২ অনুচ্ছেদে উল্লিখিত ২৫ বৎসরের উর্ধ্বে পুত্র সন্তানের প্রাপ্যতার অনুরূপ শর্তে মৃত বেসামরিক সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীর বিবাহিতা কন্যা/কন্যাগণ প্রচলিত বিধিগত পদ্ধতিতে ও হারে প্রাপ্য হইবেন।
স্বামীর পেনশন প্রাপ্তির শর্তঃ
অর্থ বিভাগের প্রজ্ঞাপন নং-০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০০৬.১৫.৮১, তারিখঃ ১৪-১০-২০১৫ খ্রিস্টাব্দ/২৯-৬-১৪২২ বঙ্গাব্দ এর (ক) অনুচ্ছেদে বর্ণিত টেবিলে চাকরির মেয়াদের ভিত্তিতে বর্ণিত হারে পেনশন পাইবেন। পুনঃবিবাহ না করার শর্তে স্বামী পেনশন প্রাপ্য হইবেন সর্বাধিক পনের বৎসর পর্যন্ত।
সূত্র: মোহাম্মদ ফিরোজ মিয়া রচিত “পেনশন বিধিমালা”
দ্বাদশ সংস্করণ।
--------------------------------------
আরও দেখুন-
------------------------------------------------------
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে
শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
কোন মন্তব্য নেই