বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পদক প্রদানের নীতিমালা।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পদক প্রদানের নীতিমালা।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পদক প্রদানের নীতিমালা। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিভিন্ন কর্মচারীদের অসীম সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ কাজের পাশাপাশি বুদ্ধিমত্তা, একনিষ্ঠতা, সততা, দূরদর্শিতা, মমত্ববোধ প্রভৃতির দৃষ্টান্তপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত ‘বাংলাদেশ আনসার পদক’, ‘প্রেসিডেন্ট আনসার পদক’, ‘বাংলাদেশ গ্রাম প্রতিরক্ষা দল পদক’, ‘প্রেসিডেন্ট গ্রাম প্রতিরক্ষা দল পদক’, ‘বাংলাদেশ আনসার (সেবা) পদক’, ‘প্রেসিডেন্ট আনসার (সেবা) পদক’, ‘বাংলাদেশ গ্রাম প্রতিরক্ষা দল (সেবা) পদক' এবং প্রেসিডেন্ট গ্রাম প্রতিরক্ষা দল (সেবা) পদক প্রদানের নীতিমালা প্রণয়ন করা হলো।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আনসার অধিশাখা-১ থেকে ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৬ তারিখে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেখানে জানানো হয় যে, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিভিন্ন কর্মচারীদের অসীম সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ কাজের পাশাপাশি বুদ্ধিমত্তা, একনিষ্ঠতা, সততা, দূরদর্শিতা, মমত্ববোধ প্রভৃতির দৃষ্টান্তপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত ‘বাংলাদেশ আনসার পদক’, ‘প্রেসিডেন্ট আনসার পদক’, ‘বাংলাদেশ গ্রাম প্রতিরক্ষা দল পদক’, ‘প্রেসিডেন্ট গ্রাম প্রতিরক্ষা দল পদক’, ‘বাংলাদেশ আনসার (সেবা) পদক’, ‘প্রেসিডেন্ট আনসার (সেবা) পদক’, ‘বাংলাদেশ গ্রাম প্রতিরক্ষা দল (সেবা) পদক' এবং প্রেসিডেন্ট গ্রাম প্রতিরক্ষা দল (সেবা) পদক প্রদানের নীতিমালা প্রণয়ন করা হলো।
পদকপ্রাপ্তির যোগ্যতা ও শর্ত:
নিম্নবর্ণিত এক বা একাধিক কাজের জন্য বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে প্রেষণে আগত কেবল পোষাকধারী কর্মচারী, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী অধিদপ্তরের সকল পর্যায়ের কর্মচারীসহ ব্যাটালিয়ন সদস্য/সদস্যা, অঙ্গীভূত সদস্য/সদস্যা, আনসার/ভিডিপি/টিডিপি সদস্য/সদস্যা, থানা/উপজেলা আনসার কমান্ডার, ইউনিয়ন/ওয়ার্ড/গ্রাম দলনেতা/দলনেত্রীগণসহ সকল পর্যায়ের সদস্য-সদস্যাদের উক্ত পদক প্রদান করা যাবে, যথা:
(ক) প্রতিপক্ষের সাথে সংঘর্ষের সময় জীবন বিপন্ন করে বীরত্বপূর্ণ/সাহসিকতার পরিচয় প্রদান,
(খ) সন্ত্রাসী/রাষ্ট্রদ্রোহী/নাশকতামূলক কার্যক্রম নির্মূলে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখা,
(গ) চোরাকারবারীর সাথে সংঘর্ষের সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বীরত্ব/সাহসিকতার পরিচয় প্রদান,
(ঘ) পার্বত্য এলাকাসহ দেশের যে কোনো অঞ্চলে সন্ত্রাস দমনে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখা,
(ঙ) বুদ্ধিমত্তা ও দূরদর্শিতার মাধ্যমে বৃহৎ কোনো সংঘর্ষের সফল সমাধান করা,
(চ) অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে গিয়ে মারাত্মকভাবে আহত হওয়া/অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা,
(ছ) চোরাচালান দমনে দৃষ্টান্তমূলক সাফল্য অর্জন,
(জ) আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দৃষ্টান্তমূলক সাফল্য অর্জন,
(ঝ) অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার কাজে দৃষ্টান্তমূলক সাফল্য প্রদর্শন,
(ঞ) সরকারি সম্পত্তি/যানমাল/অস্ত্র-গোলাবারুদ রক্ষায় দৃষ্টান্তমূলক কৃতিত্ব প্রদর্শন,
(ট) দৃষ্টান্তমূলক আত্মত্যাগ/সমস্যা-সংকুল পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশেষ আত্মনিয়োগ,
(ঠ) জননিরাপত্তায় দৃষ্টান্তমূলক ও প্রশংসনীয় কাজ,
(ড) জনকল্যাণমূলক, দৃষ্টান্তমূলক ও প্রশংসনীয় কাজ,
(ঢ) আর্থ সামাজিক উন্নয়নে দৃষ্টান্তমূলক ও প্রশংসনীয় কাজ,
(ণ) ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক ও প্রশংসনীয় কাজ,
(ত) স্বাস্থ্যসেবা খাতে দৃষ্টান্তমূলক ও প্রশংসনীয় কাজ,
(থ) তথ্য-প্রযুক্তি খাতে উদ্ভাবনী, দৃষ্টান্তমূলক ও প্রশংসনীয় কাজ,
(দ) প্রেষণে আগত কর্মচারীদের একাধিক পদকের জন্য বিবেচনা করা যাবে না।
প্রজ্ঞাপনটি নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
--------------------------------------
আরও দেখুন-
------------------------------------------------------
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে
শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
কোন মন্তব্য নেই