বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীতে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর চিঠি || Letter from Hon'ble Prime Minister.
বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীতে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর চিঠি || Letter from Hon'ble Prime Minister.
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশত বার্ষিকীতে বাংলাদেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
সকল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একখানা চিঠি লেখেন। উক্ত চিঠিখানা বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিন ১৭ই মার্চ, ২০২০ খ্রি: তারিখে একযোগে সকল শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ছোট্ট সোনামণিদের উদ্দেশ্যে অত্যন্ত দরদমাখা লেখনিতে যা লেখেন, তা অত্র ব্লগের সম্মানীত পাঠকদের উদ্দেশ্যে নিম্নে তুলে ধরা হলো:
সকল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একখানা চিঠি লেখেন। উক্ত চিঠিখানা বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিন ১৭ই মার্চ, ২০২০ খ্রি: তারিখে একযোগে সকল শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ছোট্ট সোনামণিদের উদ্দেশ্যে অত্যন্ত দরদমাখা লেখনিতে যা লেখেন, তা অত্র ব্লগের সম্মানীত পাঠকদের উদ্দেশ্যে নিম্নে তুলে ধরা হলো:
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
ছোট্ট সোনামণি,
আমার শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা নিও। তোমার বাবা-মাকে আমার সালাম ও ভাইবোনদের স্নেহ পৌছে দিও। পাড়া-প্রতিবেশীদের প্রতি শুভেচ্ছা রইলো।
আজ ১৭ই মার্চ। ১৯২০ সালের এদিনে বাংলার মাটিতে জন্ম নিয়েছিলেন এক মহাপুরুষ। তিনি আমার পিতা, শেখ মুজিবুর রহমান।
বাংলাদেশ নামের এই দেশটি তিনি উপহার দিয়েছেন। দিয়েছেন বাঙালিকে একটি জাতি হিসেবে আত্মপরিচয়ের সুযোগ। তাইতো তিনি আমাদের জাতির পিতা।
দুঃখী মানুষদের ক্ষুধা-দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দিতে নিজের জীবনের সব সুখ-আরাম বিসর্জন দিয়ে তিনি সংগ্রাম করেছেন। বারবার কারাবরণ করেছেন। মানুষের দুঃখ-কষ্ট তাঁকে ব্যথিত করতো। অধিকারহারা দুঃখী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যেকোন ত্যাগ স্বীকারে তিনি দ্বিধা করেননি। এই বঙ্গভূমির বঙ্গ-সন্তানদের একান্ত আপনজন হয়ে উঠেছিলেন-তাই তিনি “বঙ্গবন্ধু”।
২০২০ সালে আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি। আজ শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের অনেক দেশ এই জন্মশতবার্ষিকী অর্থাৎ মুজিববর্ষ উদযাপন করছে। সকলকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ।
প্রিয় বন্ধু,
ঘাতকের নির্মম বুলেট কেড়ে নিয়েছে জাতির পিতাকে। তার নাম বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চেষ্টা করেছে। কিন্তু ওরা পারেনি। তারা বুঝতে পারেনি বঙ্গবন্ধুর রক্ত ৩২ নম্বর বাড়ির সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে ছড়িয়ে গেছে সারা বাংলাদেশে। জন্ম দিয়েছে কোটি কোটি মুজিবের। তাই আজ জেগে উঠেছে বাংলাদেশের মানুষ সত্যের সন্ধানে। ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না। সত্যকে মিথ্যা দিয়ে দাবিয়ে রাখা যায় না। আজ শুধু বাংলাদেশ নয়, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। বাংলাদেশকে বিশ্ব চিনে নিয়েছে তাঁরই ত্যাগের মহিমায়।
সোনামণি,
জাতির পিতার কাছে আমাদের অঙ্গীকার, তার স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা গড়বোই। আর সেদিন বেশি দূরে নয়। পিতা ঘুমিয়ে আছেন টুঙ্গিপাড়ার সবুজ ছায়াঘেরা মাটিতে পিতামাতার কোলের কাছে। তিনি শান্তিতে ঘুমান। তার বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।
আমরা জেগে রইবো তার আদর্শ বুকে নিয়ে। জেগে থাকবে মানুষ - প্রজন্মের পর প্রজন্ম - তার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে। জাতির পিতার দেওয়া পতাকা সমুন্নত থাকবে চিরদিন।
তোমরা মন দিয়ে পড়ালেখা করবে, মানুষের মত মানুষ হয়ে দেশ ও মানুষের সেবা করবে।
জয় বাংলার জয়, জয় মুজিবের জয়, জয় বঙ্গবন্ধুর জয়।
ইতি
তোমারই
শেখ হাসিনা
উল্লেখিত চিঠি-
উল্লেখিত চিঠি-
--------------------------------------------------
আরও দেখুন-
------------------------------------------------------
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে
শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
কোন মন্তব্য নেই