প্রাথমিকের আইসিটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল || Primary ICT Training Manual.
প্রাথমিকের আইসিটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল। সম্মানীত ভিজিটর, সরকারি-বেসরকারি প্রজ্ঞাপন ও চিঠি-পত্র সমৃদ্ধ এ বাংলা ব্লগ সাইটে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। অনুগ্রহপূর্বক, পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখুন।
প্রিয় পাঠক, আপনি যদি আমার এই অলগেজেটস ডট কম সাইটে নতুন এসে থাকেন; তাহলে, সাইটে প্রতিনিয়ত প্রকাশিত নতুন পোষ্টের আপডেট পেতে-প্লিজ, সাইটের “ফেসবুক পেজে” লাইক দিয়ে সাইটটির সঙ্গেই থাকুন। আর যদি ইতোমধ্যে আপনি
“ফেজবুক পেজে” লাইক দিয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে আবারও স্বাগত জানাচ্ছি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রজ্ঞাপন ও চিঠি-পত্র একত্রে, একসঙ্গে পাবার এ পাঠকপ্রিয় বাংলাদেশী বাংলা ব্লগে। আশা করি, পরবর্তীতে আবারও এসে ধন্য করবেন “সকল গেজেট এক ঠিকানায়” শিরোনামের এ বাংলা ব্লগে।
“ফেজবুক পেজে” লাইক দিয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে আবারও স্বাগত জানাচ্ছি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রজ্ঞাপন ও চিঠি-পত্র একত্রে, একসঙ্গে পাবার এ পাঠকপ্রিয় বাংলাদেশী বাংলা ব্লগে। আশা করি, পরবর্তীতে আবারও এসে ধন্য করবেন “সকল গেজেট এক ঠিকানায়” শিরোনামের এ বাংলা ব্লগে।
পাঠক, আপনাদের সকলের চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে এ ব্লগে আয়োজন করেছি-প্রাথমিক শিক্ষার অফিস আদেশ ও পত্র, প্রাথমিক শিক্ষার প্রজ্ঞাপন, মাধ্যমিক শিক্ষার প্রজ্ঞাপন ও পত্র, উচ্চ শিক্ষার প্রজ্ঞাপন ও পত্র, শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও ম্যানুয়াল, শিক্ষকদের পেশাগত প্রশিক্ষণ ও ম্যানুয়াল, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রজ্ঞাপন ও পত্র, পাঠ্য বইয়ের ই-সংষ্করণ, ধর্মীয় ই-বুকসমূহ, আইন ও বিধিমালার ই-বুকসমূহ, জাতীয় পরিচয় পত্র বিষয়ক প্রজ্ঞাপন, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের প্রজ্ঞাপন ও পত্র, জাতীয় বেতন স্কেলসমূহ, বিভিন্ন আর্থিক সুবিধার প্রজ্ঞাপন ও পত্রসহ বিভিন্ন ধরনের সরকারি-বেসরকারি গুরূত্বপূর্ণ গেজেট, পরিপত্র ও পত্রাদি। এবার আসা যাক, আজকের পোষ্টের কথায়।
--------------------------------------------------
আরও দেখুন-
------------------------------------------------------
প্রাথমিকের আইসিটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল।
বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (Information and Communication Technology ICT) মানুষের জীবন ধারণের পদ্ধতিকে বদলে দিয়েছে - জীবনকে করেছে সহজ ও আনন্দময়। শিক্ষাক্ষেত্রেও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি যোগ করেছে নতুন মাত্রা। যোগাযোগ ও বিনোদনের সকল মাধ্যম জয় করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আজ স্থান করে নিয়েছে শহরের আধুনিক বিদ্যালয় থেকে গ্রামের বিদ্যালয়ের ছোট্ট শ্রেণীকক্ষেও। শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্টের ব্যবহার শিখন-শেখানো কার্যক্রমকে করে তুলেছে সহজ, আনন্দময় ও অধিক কার্যকর। পাঠ সংশ্লিষ্ট ছবি, ভিডিও, এনিমেশন, অডিও ইত্যাদি ব্যবহারের ফলে শিক্ষার্থীরা কঠিন বিষয় সহজে বুঝতে পারছে এবং তাদের চিন্তার ক্ষেত্রে উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। যেহেতু শ্রেণীকক্ষে শিখন-শেখানো কার্যক্রমের বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষক দায়িত্ববান, তাই শিক্ষককে জানতে হবে কিভাবে শ্রেণীকক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিখন-শেখানো কার্যক্রমের গুণগত মান বৃদ্ধি করা যায়। সে দিকে লক্ষ্য রেখেই ‘শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালটি তৈরি করা হয়েছিল। এতে শ্রেণীকক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের সুফলসমূহ এবং কিভাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায় তার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।
এই ম্যানুয়ালের প্রথম সংস্করণ প্রকাশের পর ইতোমধ্যে অনেক সময় অতিবাহিত হয়েছে এবং এ সময়ে শিক্ষা চিন্তা এবং শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। এসব পরিবর্তন বিবেচনায় নেয়া প্রযয়োজন। বিশেষ করে শিক্ষা গুণগত মানোন্নয়নে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG 2030) এর লক্ষ্য ও সূচকসমূহ বিবেচনায় অত্যাবশ্যক। এসডিজি সূচক 4.c তে শিক্ষক ও শিক্ষক প্রশিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতার উন্নয়ন এবং এই উদ্দেশ্যে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। একইভাবে এসডিজি সূচক ৪.১.১ এ শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম পঠন ও গাণিতিক দক্ষতা অর্জন নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় পরিবর্তিত চাহিদার আলোকে ম্যানুয়ালটি পরিমার্জন অপরিহার্য হয়ে পড়ে এবং এই প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের কর্মকর্তাদের পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে ম্যানুয়াল পরিমার্জনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, পিটিআই ইন্সট্রাক্টর, ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, গবেষণা কর্মকর্তাসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে আয়োজিত কর্মশালার মাধ্যমে ম্যানুয়াল পরিমার্জনের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ চাহিদা নিরূপন করা হয় ও পরবর্তীতে সে আলোকে ম্যানুয়ালটি পরিমার্জন করা হয়। পরিমার্জিত ম্যানুয়ালে পরিবর্তিত চাহিদার পাশাপশি এর বিষয়বস্তু যেন প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। ম্যানুয়ালে মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতাসহ শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে সহায়ক টিচার্স নেটওয়ার্কিং প্লাটফর্ম, অনলাইন লার্নিং প্লাটফর্ম, রিসোর্স শেয়ারিং ও কাস্টমাইজেশন দক্ষতা, পঠন দক্ষতার উন্নয়নে সহায়ক পঠন উপকরণ উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে।। ম্যানুয়ালটি পরিমার্জনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি প্রশিক্ষণ উপকরণ ও ম্যানুয়াল বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছেন। ম্যানুয়াল পরিমার্জনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
প্রশিক্ষণের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য (Aim and Objectives of the Training):
এই প্রশিক্ষণ কোর্সের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের প্রাথমিক শিক্ষাস্তরের শ্রেণীকক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT) ব্যবহারের মাধ্যমে শিখন-শেখানো প্রক্রিয়ার উন্নয়ন তথা শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করা। সেই সাথে শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা করা। এজন্য নিম্নলিখিত উদ্দেশ্যগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে-
ক) শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিখন-শেখানো পদ্ধতির উন্নয়ন সম্পর্কে শিক্ষকদের সম্যক ধারণা প্রদান করা।
খ) শ্রেণীকক্ষে ব্যবহারের উপযোগী করে কিছু সহজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিভিত্তিক উপকরণ (ICT উপকরণ) তৈরি ও ব্যবহারে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে সক্ষম করে তোলা।
গ) শ্রেণীকক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ইতিবাচক মানসিকতা তৈরিতে সহায়তা করা।
ঘ) শিশুদের পঠন দক্ষতার উন্নয়নে সহায়ক পঠন উপকরণ উন্নয়নে সক্ষম করে তোলা।
ঙ) শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে অনলাইন নেটওয়ার্ক ও অনলাইন লার্নিং প্লাটফর্মের ব্যবহারে সহায়তা করা।
প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সময় (Duration of Training):
প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সফলভাবে শেষ করার জন্য ১২ (বারো) দিনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রতিদিন ৮ ঘণ্টার কর্মদিবসে কমপক্ষে ৬ (ছয়) ঘণ্টা সেশন পরিচালনার জন্য এবং বাকী ২ (দুই) ঘণ্টা মধ্যাহ্ন ও চা-বিরতির জন্য রাখা হয়েছে। প্রত্যেক কর্মদিবস সকাল ৯ টায় শুরু হয়ে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত চলবে। তবে প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে স্থানীয় পরিস্থিতি এবং অংশগ্রহণকারীদের আগ্রহের প্রতি লক্ষ রেখে সময় কিছুটা পরিবর্তন করতে পারেন। এই ম্যানুয়ালে সুষ্ঠুভাবে প্রশিক্ষণ পরিচালনার জন্য একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।
প্রশিক্ষণে প্রতি ব্যাচে (Batch) অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা:
প্রশিক্ষণে যেহেতু এই প্রশিক্ষণে অনেক অংশগ্রহণমূলক (Participatory) কার্যক্রমের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে তাই অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা যাতে খুব বেশি না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। প্রত্যেক ব্যাচে সর্বনিম্ন ২০ জন অংশগ্রহণকারী (প্রশিক্ষণের জন্য বিদ্যমান কম্পিউটারের সংখ্যা অনুসারে) থাকলে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে। এতে সকল অংশগ্রহণকারীর সেশনগুলোর বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি স্ব স্ব কম্পিউটারের প্রয়োজনীয় দক্ষতা অনুশীলনের সুযোগ থাকে। অংশগ্রহণকারীদের কম্পিউটার ব্যবহারের পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকলে এই প্রশিক্ষণে ভাল করতে পারবেন। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে দক্ষতা অনুশীলনের সময় প্রতি ২ জনের দলে কম্পিউটার ব্যবহারে ভাল জ্ঞান ও দক্ষতা আছে এরকম ১ জন অংশগ্রহণকারী থাকলে ভাল হবে। এতে দলের সদস্যগণ পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে ICT উপকরণ তৈরি করতে সক্ষম হবেন।
প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালটি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে
শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
কোন মন্তব্য নেই